পুনর্নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি; ইস্তফা শোভনদেবের, দিদি ফিরছে বড় বোনের কাছেই।

বলেছিলেন ভবানীপুর যদি তাঁর বড় বোন হয়, তবে নন্দীগ্রাম তাঁর ছোট বোন। সেই ছোট বোন দিদিকে হতাশ করতেই দিদি ফিরে আসলেন তাঁর বড় বোনের কাছে।
গতকাল বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ইস্তফা জমা দিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এমনটাই শোনা যাচ্ছে তাঁকে হয়তো দলের তরফে রাজ্যসভায় পাঠানো হতে পারে। এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই ফের লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ করলেও তাঁকে ছয় মাসের মধ্যে একটি কেন্দ্র থেকে জিততে হবে। তাই শোভনবাবু তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাচ্ছে যে সেখান থেকেই মাননীয়া ফের লড়তে চলেছেন। মনে করা হচ্ছিল যে সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে ভোট এখনো হয়নি। খড়দা, জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ, দিনহাটা, শান্তিপুরের আসনগুলো আপাতত খালি। খড়দার প্রার্থী কাজল সিনহা করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জেও প্রার্থীর প্রয়াণে সেখানে নির্বাচন স্থগিত। দিনহাটা ও শান্তিপুরের প্রার্থীরা সংসদে থাকতে চেয়ে ইস্তফা জমা দিয়েছেন। গতকাল শোভনবাবুর ইস্তফা দেওয়ার পরে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান যে দল চায় দিদি ভবানীপুরের প্রার্থী হয়েই জিতে ফিরুক। দুহাজার এগারো সালেও বিপুল ভোটে জিতে প্রথমবারের জন্য ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তখন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেও তিনি ছিলেন রেলমন্ত্রী। তখনও তাকে জয় করতে হত কোনো এক কেন্দ্র, তাই এই ভবানীপুরের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন প্রার্থী সুব্রত বক্সী। দশ বছর পরেও সেই দিনের পুনরাবৃত্তি ঘটলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *