চাকরির এই আকালে এইট পাশ যোগ্যতার কাজের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীরা। অবাক করা এই ঘটনা ঘটছে শহর কলকাতার বুকেই।
ল্যাবরেটরি অ্যাটেন্ডেন্ট। সোজা কথায় যাকে আমরা ডোম বলি, সেই পদে নিয়োগের জন্য ছটি শূন্যপদ রয়েছে নীলরতন সরকার হাসপাতালে। কিন্তু আবেদনপত্র জমা পড়েছে প্রায় আট হাজার।
শুধু তাই নয়,১০০ জন ইঞ্জিনিয়ার, প্রায় ৫০০ জন স্নাতকোত্তর ও দু হাজারেরও বেশি স্নাতক আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। আছে বেশ কিছু সংখ্যক মহিলাও।
প্রাথমিক বাছাইয়ের পর প্রায় আটশো জনকে ডাকা হয়েছে লিখিত পরীক্ষার জন্য, যাদের মধ্যে প্রায় পঁচাশিজন মহিলা।
করোনা আবহাওয়ায় যে ভাবে মানুষের চাকরি গেছে, মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই অবস্থা আশ্চর্যজনক নয়। নূন্যতম শিক্ষা বলে দেওয়া হয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরের স্তরে কোনো মানদণ্ড নেই, তাই মানুষ আবেদনও করেছেন। কর্মহীনতার চরম জায়গায় দেশ ও রাজ্য পৌঁছে গেছে। তাই আজ শিক্ষিত মানুষকেও এই দিন দেখতে হচ্ছে।
রাজ্যে থমকে গেছে স্কুলশিক্ষা নিয়োগ। বাঁধা বেতনের চাকরি নেই বললেই চলে। বড় শিল্প নেই। বিনিয়োগ নেই। তাই এই পরিস্থিতিও খুব স্বাভাবিক। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও অনেকে সুযোগ ও চাকরি পাচ্ছে না। ফলে হতাশায় ভুগছে। তাই পরিবারের পাশে থাকার জন্য যে কোনো একটা চাকরি জুটিয়ে ফেলতে চাইছে সকলেই। অনেক সময় পিএইচডি ক্যান্ডিডেটকেও বিভিন্ন পদে আবেদন করতে দেখা যায়। এ রাজ্যে ও দেশে শিক্ষিতদের জায়গা আজ কোথায় তা নিয়ে সন্দেহ ও উদ্বেগ বাড়ছে সকলেরই।