গত বছরের ন্যায় এবছরেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মণ্ডপের ভিতরে কোনো দর্শনার্থীর প্রবেশ নিষিদ্ধ। নিয়মবিধির মেয়াদ আগামী একমাস বাড়িয়ে দিলেও পুজোর কোনো নিয়মাবলী নিয়ে এখনও রাজ্য মুখ খোলেনি। তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ জারি হয়েছে।
শুধু দুর্গাপুজো নয়, কালীপুজোতেও এই নির্দেশ বহাল থাকবে, এবং রাজ্যও তা মেনে নিতে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্যান্ডেলে ঢুকতে না দিলেও বাইরে থেকে তো দেখা যেতেই পারে প্রতিমা। এছাড়াও রাতের গতিবিধির নিয়ন্ত্রণে যে হ্রাস টানা হয়েছে তাতে আনন্দে ভাটা পড়বে না এমনটিই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও প্রতিশ্রুতি মত টাকা পাবে বিভিন্ন ক্লাবগুলি। নির্বাচন কমিশন তাতেও ছাড় দিয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব ও প্যান্ডেলে কোভিডবিধি মানা বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইসেশন ও মাস্ক পরাও আবশ্যক। প্যান্ডেলে ঢুকতে পারবে শুধু পুজো কমিটির লোকেরা। তাতেও তাদের নামের লিস্ট টাঙাতে হবে মণ্ডপের বাইরে।
কোভিডের জন্য আগের বছর সন্ত্রস্ত হয়ে পুজো কাটিয়েছে রাজ্যবাসী। এবছর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং অনেকের দ্বিতীয় ডোজ হয়ে গেছে। ফলে মানুষ একটু স্বস্তি পাচ্ছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের একাধিকের দাবি, রাত্রে নিয়ন্ত্রণ লঘু করে দিলে মানুষের গতিবিধিতে সংকটজনক অবস্থা তৈরি হতে পারে পুজোর পরে। এই ব্যাপারে কেন্দ্র থেকেও সতর্কতামূলক বার্তা এসেছে রাজ্যের প্রতি।
তবে রাজ্যের তরফ থেকে পরিষ্কারভাবে কিছু বিধিনিষেধ উল্লেখ করে দেওয়া হবে খুব শীঘ্রই। মানুষের নিরাপত্তা এবং আনন্দ দুইকে প্রাধান্য দিয়েই এবছর রাজ্যবাসী পুজো কাটাতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ছবি : গুগুল