বর্ষপূর্তির নতুন উপহার ‘ইয়াস’

ঠিক একবছর আগে এই দিনেই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশাকে তছনছ করে দিয়েছিল আমপান। একবছর পর ফের নিম্নচাপকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। কিছুদিন আগে টাউটের দাপট দেখেছে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, গোয়া, দমন এবং দিউ ও গুজরাট। এই করোনা পরিস্থিতিতে গতবছর প্ৰথম ঢেউকে দক্ষভাবে সামলে নেওয়ার চেষ্টায় বাধা দেয় এই আমপান। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুই চব্বিশ পরগনা, কলকাতা ও সুন্দরবন এলাকা যা স্থিতিশীল অবস্থায় আসতে সময় লেগেছিল প্রায় মাস দুয়েক। নোনা জল চাষের জমিতে ঢোকায় এবং ঝড়ের দাপটে ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন আজও ব্যাহত।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে তৎপর দুই সরকার। এর মধ্যে বছরের রীতি মেনে দ্বিতীয়বার আশঙ্কার সৃষ্টি করছে নতুন ঘূর্ণিঝড়। তার নাম বঙ্গীকরণের ফলে হয়েছে যশ , আদতে তা আরবি শব্দ ‘ইয়াস’ যার অর্থ দুঃখ। নামকরণটি করেছে ওমান। কলকাতা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই নিম্নচাপ ২২শে মে সৃষ্টি হয়ে আগামী কয়েক দিনে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কতটা শক্তিশালী হবে তা নিয়ে কোনো মতামত জানায়নি আবহাওয়া দপ্তর। যেহেতু বঙ্গোপসাগরে এর উৎপত্তি সেহেতু সাগরের উপরে থাকাকালীন তা জলীয় বাষ্প শুষে অধিক শক্তি সঞ্চয় করে সাধারণ ঝড় থেকে অতি সংকটজনক ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতেই পারে। তার জন্য আগে থেকে সবরকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। মৎস্যজীবীদের তেইশ তারিখের মধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। চব্বিশ তারিখ থেকে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *