সোনার মেয়ের রুপো জয়।

যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এমনটাই শুনে এসেছি আমরা। কিন্তু ভারতে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের এখনও মনে হয় মেয়েদের স্থান কেবল অবরুদ্ধ দ্বারের পিছনে। সে সব মানুষকে হারিয়ে দিয়ে ভারতকন্য মীরাবাই চানুর সাফল্য অর্জন।
ছোটবেলা থেকেই কষ্টে দিন কাটতো। আট জন সদস্যের পরিবারের পোষণের যে ভার তার উপরে ছিল তার ভারেই হয়ত সে এই ওজন তুলতে সক্ষম বা অভ্যস্ত ছিল। যে ছোট মেয়েটা ছোট বেলায় কাঠের বোঝা নিয়ে মণিপুরের ছোট্ট গ্রামের পাহাড়ের উপর দিয়ে বাড়ি ফিরত, সেই মেয়েটাই স্বপ্ন দেখতো বিশ্ব জয় করার। সেই মেয়েটার সাফল্যের গর্ব আজ ভাগ করে নিচ্ছে গোটা দেশ।
ছাব্বিশ বছরের মীরা কাল ৪৯ কেজির ভারোত্তোলনে দেশকে এনে দিল রুপোর পদক। এই লড়াইয়ের শুরু রিয়ো অলিম্পিক্স থেকে যেখানে তিনি ভারোত্তোলন করতেই অক্ষম হয়েছিলেন। পাঁচ বছর ধরে এই ব্যর্থতা তাকে কুরে কুরে খেয়েছে। আজ সেই লড়াইকে জয় করে চানুর চোখে তৃপ্তির ছাপ।
প্রায় দু দিন তিনি কিছু খাননি এবং তার খাওয়াদাওয়ার উপরে যথেষ্ট নজর ছিল। কিন্তু সাফল্যের পর দেশে ফিরে তিনি মন প্রাণ ভরে খেতে চান মায়ের হাতের বানানো খাবার, মাছ-ভাত , আবার পিৎজাও। দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি থেকে বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রী সকলেই আবেগে আপ্লুত। যে দেশের জলহাওয়ায় নিজেকে গড়েছে মেরি কম, সুশীলা চানু প্রমুখরা তাদেরই একজন হয়ে আজ মীরাবাই তার নিজের স্বপ্ন পূরণ করলো।
হোক না রুপোর মেডেল, তবু মেয়ে তো আমাদের সোনা-ই!

ছবি: গুগুল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *