কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোনোভাবেই টিকাকরনের বাধা হওয়া উচিত নয়

চিত্রঃ https://pixabay.com/

অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা ভ্যাক্সিন, যা মূলত কোভিশিল্ড নামে পরিচিত, প্রয়োগের ফলে ফ্লু, মিজল, মাম্পস, রুবেলা ইত্যাদির ভ্যাক্সিনে যা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় সেরকমই যৎসামান্য প্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিন দেওয়ার পর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন বা রক্ত জমে যাওয়ার মতো কিছু ঘটনা দেখা গিয়েছিল কিন্তু তার পরিসংখ্যান হাতে ছিল না। ফলে এক রকম আতঙ্ক মানুষের মধ্যে ছিল। সম্প্রতি কোভিশিল্ড প্রয়োগের ফলে রক্তক্ষরণ সম্পর্কিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সংখ্যা তাত্ত্বিক গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

কোভিশিল্ড প্রয়োগের ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নাম, ইডিওপ্যাথিক থ্রম্বসাইটোপেনিক পারপুরা (ITP), দশ লক্ষ মানুষের মধ্যে এগারোজনের এরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যা একই ধরণের অন্যান্য টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পরিসংখ্যানের সমান।

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা যারা এই গবেষণাটি করেন তারা দেখেন কোনও না কোনও ক্রনিক রোগ থাকা মানুষদের মধ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বেশি। যাঁদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে তাঁদের গড় বয়স ৬৯ বছর।

স্কটল্যান্ডের ৫৪ লক্ষ মানুষের মধ্যে ২৫ লক্ষ মানুষ যারা ভ্যাকসিনের অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন তাঁদের উপর সমীক্ষাটি করা হয়েছে। ১৪ এপ্রিল ২০২১ এর মধ্যে করা এই সমীক্ষায় ২৫ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৭ লক্ষ কোভিশিল্ড নিয়েছেন এবং ৮ লক্ষ মানুষ ফাইজার ভ্যাক্সিন নিয়েছেন। গবেশকদের বক্তব্য এই তথ্য কোনোভাবেই ভ্যাক্সিন গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত যেন না করে, শুধু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে একটু সচেতন করতে ব্যবহার করা হয়। এই গবেষণার ফল গত বুধবার জার্নাল অফ নেচার মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।

অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে ফাইজারের কার্যকারিতা আগের অন্যান্য মিউট্যান্ট এর বিরুদ্ধে কার্যকারিতা তুলনামূলক ভাবে কম। সাম্প্রতিক লান্সেট জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এই পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে যে সময়ের সাথে ও বয়সের সাথে ভ্যাক্সিনের প্রভাবে এন্টিবডির পরিমান কম হয় এবং শুধু এন্টিবডির পরিমান দিয়েও ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা বঝা যায় না, তার জন্য পপুলেশন স্টাডিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কোভিডের সব রকম ভ্যারিএন্টের জন্য বয়সের সাথে এন্টিবডির সংখ্যা কমতে দেখা গেলেও লিঙ্গ বা বডি মাস ইনডেক্স এর সাথে এন্টিবডিরর কোনও যোগসূত্র এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *