ইউজিসির নয়া নির্দেশে ফের ক্ষুব্ধ অনেকেই।

গতবছর হঠাৎ করে উদয় হয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল ইউজিসি। চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে বলেছিল তারা। তারপর আবার চুপ।
হঠাৎ করে কিছুদিন আগে একটি সার্কুলার বেরোনোর ফের বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। ব্লেন্ডেড পদ্ধতিতে পোড়ানো নিয়ে উচ্চশিক্ষা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত সকলের মতামত জানতে চেয়েছে ইউজিসি। সেখানে বলা হয় সিলেবাসের চল্লিশ শতাংশ পড়ানো হবে অনলাইনে, বাকিটুকু পড়ানো হবে অফলাইনে। পরীক্ষার ব্যাপারে তারা জানায় যে পরীক্ষা হবে অফলাইনে। দেশের এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষাগুলি যেভাবে বাতিল করা হচ্ছে ও স্থগিত রাখা হচ্ছে, সেখানে আবারও আগের বছরের মত এই হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অনেকেই। বিগত এক বছর ধরে দেখা গেছে যে সব ছাত্রছাত্রীরা প্রত্যন্ত গ্রামে থাকে, তাদের কাছে স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট পরিষেবা খুব একটা ভালো নয়। তাদের কাছে ফোন থাকলেও পরিষেবা দুর্বল থাকার কারণে অনেকেই ক্লাস করতে পারছে না। ফলে এক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে অনলাইনে যথাযথ ক্লাস নেওয়ার অপারগ শিক্ষক শিক্ষিকারা। এছাড়াও দেশে যে হারে করোনা বাড়ছে তাতে এক ক্লাসে বসে পরীক্ষা দেওয়া বা ক্লাস নেওয়াটাও কবে থেকে সম্ভব তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। এই ব্লেন্ডেড পদ্ধতিতে পঠনপাঠন চললে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে আর্থ সামাজিক বৈষম্য। ফলে কেউ এগিয়ে পড়লে কেউ অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে। যাদের কাছে এই দুইই নেই তারা এই গোটা শিক্ষাব্যাবস্থা থেকে বাদ পড়ছে। এই নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সকলেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *