রাজ্যে আংশিক লকডাউন। এর মধ্যে নানা শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্টুরেন্টের দরজায় পড়েছে তালা। অ্যাপের মাধ্যমে খাবার ডেলিভারি হলেও তা খুব একটা বেশি নয়। করোনার ভয়ে তটস্থ সকলেই। কলকাতা ও মফৎসল এলাকাগুলিতে যেখানে কোনো ফুড ডেলিভারি অ্যাপ চলে না সেখানে রেস্টুরেন্টগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ, যদিও শহরের রেস্টুরেন্টগুলো অ্যাপের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করছে, কিন্তু ডাইন ইন বন্ধ থাকায় তাদের রোজগারে ভাটা পড়েছে। ফুড জয়েন্ট ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁর সাথে জড়িত থাকে অনেক মানুষ, স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত রেস্টুরেন্টের মালিকেরা। কীভাবে তারা কর্মচারীদের মাইনে দেবেন বা কীভাবে তারা ভাড়া মেটাবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় সকলেই। তাই এনআরএআই (ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট এসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া)-র পক্ষ থেকে ভাড়া মকুব করার আর্জি করা হল। যে সব রেস্টুরেন্টগুলি শপিং মল বা বিভিন্ন বাড়ির ভাড়া নিয়ে চালানো হত তাদের মালিকদের কাছে অনুরোধ করা হয় ভাড়া মকুব করার জন্য। এছাড়াও গতবছরেও যেভাবে দুঃসময়ের মুখে তাদের পড়তে হয়েছিল সেই কথা মাথায় রেখেই তারা ভাবছে এবছরও তাদের ফের ব্যাবসা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। যতদিন তাদের ব্যাবসা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে তারা রেস্টুরেন্টের আয়ের একটা অংশ ভাড়া হিসেবে নিক, যার আনুমানিক সময়সীমা জানানো হয়েছে ছয় মাস। কিন্তু লকডাউন উঠলে সেই সময়সীমার আগে পর্যন্ত নূন্যতম ভাড়া ও রক্ষণাবেক্ষণের অন্যান্য খরচ কমিয়ে অর্ধেক করার দাবি জানিয়েছে এই কমিটি। অর্থনীতির এই শিকলে এক দিকে টান পড়লে অন্য দিকে টান পড়াটা স্বাভাবিক বলেই মনে করা হয়। সেক্ষেত্রে কতদিন কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে বা সেই বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি বা মতামত দেয়নি কমিটি।