বৈবাহিক ধর্ষণকে এখনও এই দেশে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হয় না। তবুও কেরালা হয় কোর্ট ঐতিহাসিক এক রায় দিল। এই কারণ বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত এক কারণ।
কেরলে এক মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য মামলা করেন। সেখানে রায় তার পক্ষেই যায়। কিন্তু তার স্বামী তাকে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই তার স্বামীর আবেদনকে খারিজ করে দেন বিচারপতি।
আদালতের মতে স্ত্রীর কোনোকিছুর উপরেই বলপূর্বক অগ্রাধিকার দেখাতে পারেন না স্বামী। তা শরীর হোক বা আত্মপরিচয়।তার উপর কর্তৃত্ব ফলানোর কোনো অধিকার নেই স্বামীর। সেখানে যদি স্ত্রীর আপত্তি সত্বেও তিনি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে চান তবে তা যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণ ছাড়া কিছু বলে গণ্য করা হবে না।
স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই একে অপরের সমকক্ষ। সেখানে একজনের অগ্রাধিকার মানেই তাতে অপরজনের ব্যক্তি স্বাধীনতায় আঘাত করা। মন ও শরীর দুটোর সংমিশ্রণে তৈরি মানুষের মানবিকতা। সেখানে বলপূর্বক কোনো কাজ করা মানে মনের বিরুদ্ধে যাওয়া, তা অত্যাচার। তাই বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য এই কারণ যথেষ্ট। এইভাবে মহিলাদের সুরক্ষা ও তাদের মনের পক্ষ নিয়ে সায় দিল কেরালা হাই কোর্ট।