পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা মিলছে না। আঠের অনুর্দ্ধদের টিকাকরণের অনুমতি মিললেও পয়লা মে থেকে যেই টিকাকরণের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল তা রাখতে পারেনি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। বারংবার টিকাকরণ নিয়ে বিভিন্ন নিয়ম ও নীতি তারা পরিবর্তন করে চলেছেন। টিকার অপর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে আগে দ্বিতীয় ডোজের সমস্ত টিকাকরণ শেষ করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। তারপর আবার মিলবে প্রথম টিকার ডোজ ও অন্যান্যদের টিকাকরণের ব্যবস্থা।
এরইমধ্যে নয়া নিয়ম চালু করল কেন্দ্র। আগে যেখানে করোনা আক্রান্ত যারা, তাদের সুস্থ হয়ে ওঠার ছয় মাসের মাথায় তারা করোনার টিকা নিতে পারবে তা অনুমোদিত ছিল, নয়া নীতিতে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে তা বলা হয়েছিল নয় মাস। এর পর মানুষের বিভ্রান্তি দূর করতে নেকভ্যাক (ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রূপ অন ভ্যাকসিন এডমিনিষ্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯) বলে কেউ যদি করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে করোনা আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে তিনি সেরে ওঠার তিন মাস পরে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারেন। প্লাজমাদাতারা কোভিড থেকে সেরে ওঠার তিন মাসের মাথায় দ্বিতীয় টিকা নিতে পারবেন। যারা কোভিড ছাড়া অন্য অসুস্থতার কারণে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন তারা সুস্থ হওয়ার ২৮ দিন থেকে ৮৪ দিন পরে প্রতিষেধকের টিকা নিতে পারেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাও বাধ্যতামূলক নয়। নেকভ্যাক কমিটি গর্ভবতী মায়েদের কোভিড টিকা নেওয়ার সিদ্ধান্তে যদিও এখনো পৌঁছাতে পারেনি।
এই পরিস্থিতিতে রক্তের আকালেও মানুষ ভুগছে। ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রূপ অন ভ্যাকসিন এডমিনিষ্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯ জানিয়েছে কোভিড জয় করার ১৪ পর বা টিকা নেওয়ার ১৪ পর থেকে রক্তদান সম্ভব।