সাদা কালো ছত্রাক, নোভেল করোনা ভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে নতুন দুই রোগ।

প্রথমে করোনা, তারপর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, এরপর হোয়াইট ফাঙ্গাস। প্রকৃতির রোষ কমছে না মানুষের উপর থেকে। সারা দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, এবং তারই মধ্যে নতুন করে হানা দিচ্ছে এই নতুন ফাঙ্গাসের দল। রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা সরকার ইতিমধ্যে একে মহামারী হিসেবেই চিহ্নিত করছে, যা অবহেলায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, বা কালো ছত্রাক। মানবদেহে বাসা বাঁধলে এবং সঠিক সময় চিকিৎসা শুরু না করতে পারলে এই মিউকোরমাইকোসিস প্রাণঘাতী হতে পারে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা এবং তারা করোনাজয়ী। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় দেড় হাজার মানুষ এই ছত্রাকের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে মানবদেহে বাসা বাঁধছে এই ছত্রাক এবং এতে মৃত্যুহার প্রায় পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি। ইতিমধ্যে এই ছত্রাকের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় আশিজন করোনাজয়ী।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পাশাপাশি জাঁকিয়ে বসছে সাদা ছত্রাকও। পাটনায় ৪ জনকে ইতিমধ্যে আক্রান্ত করেছে এই ফাঙ্গাস। যদিও এই চারজনের কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ। নতুন এই রোগের উপসর্গগুলিও কোভিডের মতোই। তাই অনেকেই একে কোভিড বলে প্রাথমিকভাবে ধরে নিচ্ছেন। কিন্তু রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে বোঝা যাচ্ছে তা অন্য রোগ। শারীরিক সমস্যা ও জটিলতায় যারা ভুগছেন, যেমন হাই সুগার, ক্যানসার ও স্টেরয়েড নিচ্ছেন যারা তাদের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে খুব সহজেই। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একজন সুস্থ মানুষের থেকে অনেকটাই কম।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলে পড়ে শহরের শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন। অনুমান করা হচ্ছে ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ীরা বা অন্যান্য যারাই রাজ্যে প্রবেশ করছে তারা বয়ে আনছে এই রোগ। রাজ্যে পাঁচ জন এই রোগে আক্রান্ত। এই রোগে নাকের উপরে প্রাথমিকভাবে কালো ছোপ দেখা যায়। নাকের ভিতরে কালো হয়ে যায়, কালো কফও বেরোয়। পাশাপাশি সর্দি এবং দৃষ্টিশক্তিতেও প্রভাব ফেলে। এছাড়া ত্বক, মাড়ি, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, খাদ্যনালী, কিডনিতেও প্রভাব ফেলতে পারে গুরুতর ক্ষেত্রে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের রোগীদের ওষুধ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে অ্যাম্ফোটেরিসিন-বি। তবে হোয়াইট ফাঙ্গাসের ওষুধ হিসেবে কিছু গোত্রের স্টেরয়েডকেই চিহ্নিত করছেন ডাক্তাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *