শুক্রবার গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি, যিনি দুর্গাপূজার উৎসবের সময় বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক হিংসার মূল সন্দেহভাজন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। bdnews24.com জানিয়েছে, ইকবাল হোসেনকে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সন্দেহ করা হয় যে তিনি কুমিল্লার একটি দুর্গাপূজা ভেন্যুতে কুরআনের একটি কপি রেখেছিলেন। দুর্গাপূজা উদযাপনের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি কথিত ধর্ম অবমাননামূলক পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর গত বুধবার থেকে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরগুলিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার গভীর রাতে একটি হিংসাত্মক জনতা বাংলাদেশে ৬৬ টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং হিন্দুদের অন্তত ২০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ইকবালকে বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গ্রেফতার করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেছেন। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ থেকে ওই যুবককে শনাক্ত করেছে, যিনি ১৩ অক্টোবর ভোরে শহরের নানুয়া দীঘির পারের পূজা ভবনে কুরআনের কপি রেখেছিলেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ছাড়া আর কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি, কিন্তু হোসেনের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন যে তিনি মানসিকভাবে অস্থির ছিলেন এবং কেউ হয়তো তার অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাকে পুজা মন্ডপে কুরআন শরীফ রেখে পরিকল্পিতভাবে হিংসা ছড়িয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে যা সাতজনের প্রাণহানি এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে পৃথক হামলায় ছয়জন হিন্দু নিহত হয়েছে, কিন্তু পরিসংখ্যান স্বাধীনভাবে নিশ্চিত করা যায়নি। হিন্দুদের ওপর হামলার নিন্দা করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো সোমবার এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, হিন্দুদের ওপর হামলা বাংলাদেশের সংবিধানের মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং বন্ধ করা দরকার।