একাধিক মসজিদে হামলার ঘটনায় অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা

বৃহস্পতিবার বিজেপি এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিভিন্ন কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। সম্প্রতি বাংলাদেশে দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে যে সংখ্যলঘু নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য মিছিলের ডাক দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। প্রায় ১৩টি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন একত্রিত হয়ে এক বিশাল মিছিল করে আগরতলায় এবং বাংলাদেশ অ্যাসিটেন্ট হাই কমিশনারের অফিসে স্মারক লিপি দিতে যায়। এই সময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা আগরতলার কৃষ্ণনগরের জামা মসজিদ আক্রমন করে এবং ভাঙচূর করে।

এছাড়া বৃহস্পতিবার গোমতি জেলার উদয়পুরে মহারানী এলাকার একটি মসজিদকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় হিন্দুত্ববাদী দুষ্কৃতিরা। এরপর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। শুক্রবারও বিভিন্ন মসজিদের উপর আক্রমন চলতে থাকে। স্টুডেন্ট ইসলামিক অর্গানাইজেশনের সফিকুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী বুধবার থেকে ত্রিপুরায় প্রায় ছয়টি মসজিদের উপর হামলা চালানো হয়। শুক্রবার ভোর রাতে পানিসাগর এলাকায় একটি মসজিদ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও কৈলশহর এলাকায় একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে হিন্দুত্ববাদীরা জাময়েত করে এবং “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি দিয়ে মসজিদের মাথায় গেরুয়া ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়ে আসে। বহু জায়গায় পুলিশ উত্তেজিত হিন্দুত্ববাদী জনতাকে আটকানোর কোন রকম প্রচেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই সমস্ত অপ্রিতিকর ঘটনার কারনে গত ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আগরতলায় নির্ধারিত বাঙলাদেশ চলচিত্র উৎসব বাতিল করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ২৫ শে নভেম্বর ত্রিপুরার বিভিন্ন পুরসভায় নির্বাচনের দিন ঘোষনা করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনকে অজুহাত করে আগামী দিনে নির্বাচনের আগে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের পরিবেশ তৈরী করতে চাইছে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *