কোভিশিল্ডকে মান্যতা দেওয়া হলেও ব্রিটেনে বিভিন্ন বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে এই টিকা গ্রহণকারীদের নিয়ে। এই প্রতিষেধক নিয়ে ভারত থেকে ওই দেশে গেলে তাদের দশদিন নিভৃতবাসে থাকতে বাধ্য করছে সরকার। এই বাধ্যতামূলক শর্ত এখনও জারি রয়েছে ব্রিটেনে, বরিস জনসন সরকারের আওতায়।
টিকা নিয়ে কোনো সমস্যা না থাকলেও টিকার শংসাপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলছে ব্রিটেন সরকার। এই নিয়ে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ বৈঠকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জানান যে বিভিন্ন দেশের টিকার পারস্পরিক শংসাপত্রকে মান্যতা দিলে আন্তর্জাতিক সফরের জন্য তা সহজ হবে। কিন্তু ব্রিটেন সরকার জানায় যে দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা হাতে গোনা তাদেরকেই একমাত্র সবুজ তালিকায় রেখেছেন তারা। তা ছাড়া ভারতের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশী। তাই এই নিভৃতবাসের শর্ত তাদের দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেকেই জাল শংসাপত্র জোগাড় করে ফেলেছেন, ফলে কোউইন প্ল্যাটফর্মের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই মূলত প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
শুধু ভারত নয়, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষদের ক্ষেত্রে নিয়মাবলী পরিবর্তন করেছে সরকার। বিভিন্ন টিকা নিয়েছে যারা তাদের ব্রিটেনে প্রবেশ করা মাত্রই নিভৃতবাসে যেতে হচ্ছে কারণ ধরে নেওয়া হচ্ছে যে তাদের টিকাকরণ হয়নি। ভারতের যে টিকা নিয়ে ব্রিটেন সরকার একসময় সামলেছিল তার দেশ, তাকেই স্বীকৃতি না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রয়োজনে একই ব্যবস্থা ব্রিটেনের নাগরিকরা ভারতবর্ষে এলে তাদের উপরেও লাগু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদেশসচিব।