গতবছর করোনা আবহাওয়া শুরু হতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মেট্রোর টোকেন। পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতিতে একটু আয়ত্তে আসলে মেট্রো যখন ফের চালু হল তখনও চালু হল না টোকেন। প্রায় এক বছরের উপর মানুষ মেট্রোতে যাতায়াত করছে স্মার্টকার্ড ও অ্যাপে বুকিংয়ের মাধ্যমে।
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এখন এটাকেই চূড়ান্ত বলে মনে করা হচ্ছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। করোনা পূর্ববর্তী সময়ে দৈনন্দিন যাত্রীরা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করলেও অন্যরা টোকেনের উপরেই ভরসা করতো। ভিড়ের সময়ে কিছু দিন এমন হত যে অন্য স্টেশন থেকে টোকেন পৌঁছে দিতে হত কিছু স্টেশনে। খুচরো নিয়ে বচসা তো নিত্যদিনের ঘটনা ছিল। সেখানে স্মার্টকার্ড অনেকটাই যাত্রাকে স্বাভাবিক ও নির্ঝঞ্ঝাট করেছে। স্মার্টকার্ড কিয়স্ক থেকেই রিচার্জও করা যায়। বার বার লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেনের ঝঞ্ঝাট থেকে একেবারে মুক্তি।
এছাড়া যে গতিতে জোকা, এয়ারপোর্ট, শিয়ালদহ মেট্রোর কাজ এগোচ্ছে, তা শেষ হতে আর বেশি সময় নেই। রাতারাতি এই মেট্রো চালু হয়ে গেলে এত কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব হবে না। ফলে পুরোনো কর্মীদের দিয়েই আপাতত কাজ চালাতে হবে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল টিকিট বুকিং ও স্মার্টকার্ডই ভরসা হয়ে উঠবে।
বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে টোকেন কবে ফিরবে তার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে, বরং অন্য বিকল্প ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে। মোবাইল অ্যাপেরও কাজ চলছে। তবে কি হতে চলেছে এখন তা নিয়ে কেবলই ধোঁয়াশা।
ছবি : https://images.app.goo.gl/mfZrvm2558uU2n2f9