রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স; কোভিডবিধি মানা, না-মানার মধ্যেই হল পরীক্ষা।

গতকাল ছিল রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা, এবং তাকে ঘিরে কোভিড বিধিনিষেধ ভঙ্গের অনেক প্রমান দেখা গেছে রাজ্য জুড়ে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ও ক্লাসরুমের মধ্যে সেই সতর্কতা জারি থাকলেও ভিড় ট্রেন ও বাস,তাছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরেও জটলায় কোভিডবিধি মানার কোনো অবকাশ নেই বলেই জানিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ।
এক বছর পর অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি ছাত্রছাত্রীরা। অনেকে আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে টিকার ডোজও নিয়ে রেখেছিল। কেউ কেউ বাড়িতে বসে টানা মাস্ক পরে পরীক্ষা দেওয়া প্র্যাকটিসও করেছে। পুরোনো পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিতে পেরে যেন ছাত্রছাত্রীরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচার আশ্বাস পেয়েছে।
রাজ্যের মোট ২৭৪ টি কেন্দ্র জুড়ে  প্রায় তিরানব্বই হাজার ছাত্রছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছে এইবার। শুধু রাজ্যের ছেলেমেয়েরা নয়, ভিনরাজ্য থেকেও এসে পরীক্ষা দিয়েছে প্রায় তিরিশ হাজার ছেলেমেয়ে। সঙ্গে এসেছেন তাদের অভিভাবকেরাও। অতিমারীর এই পরিস্থিতিতে এবছর যে অফলাইনে এইভাবে পরীক্ষা দিতে পারবে তা কল্পনার বাইরে ছিল অনেকেরই। সুতরাং এই পরীক্ষা মনের জোর ও আশার আলো দেখিয়েছে অনেককেই।
কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যে সচেতনতা বজায় ছিল তা অবিভাবকদের মধ্যে দেখা যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে সিট খুঁজতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন অনেকে। অনেকে অনেক দূর থেকে গাড়ি ভাড়া করে এসেছেন। অনেকে স্টাফ স্পেশাল ট্রেনের টাইম না জানায় বহু সময় ধরে অপেক্ষা করেছেন স্টেশনে। পরে ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে পরীক্ষাকেন্দ্র অবধি পৌঁছাতে হয়েছে। উত্তরবঙ্গে এরইমধ্যে নাজেহাল করেছে বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জায়গাতেও বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছে অনেকেই। পুলিশ প্রশাসনের সতর্কতা জারি করা সত্ত্বেও নিয়মভঙ্গ করতে হয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য এই জমায়েত এক অগ্নিসংযোগ কিনা তা নিয়ে আশঙ্কায় ভুগছেন অনেকেই। তবে ছাত্রছাত্রীরা এই পরীক্ষা নিয়ে খুশি।
ছবি: https://images.app.goo.gl/co7FnhUTUbegytraA

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *