মহাকাশে এই প্রথম সন্ধান মিলল কার্বন বলয় সমৃদ্ধ অণুর। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় এই অণুর রাসায়নিক নাম পলি অ্যারোমাটিক হাইড্রোকার্বন বা পি.এ.এইচ। বিজ্ঞানীদের দাবী প্রাণ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে এই অণু। ফলে মহাকাশে পি.এ.এইচ এর সন্ধান প্রাণ সৃষ্টির রহস্যের গবেষণাকে কয়েক কদম এগিয়ে দেবে বলেই মনে করছেন বৈজ্ঞানিক মহল। মূলত হাইড্রোজেন পরমাণু সম্বলিত কার্বনের একাধিক ষড়ভূজী বন্ধনী একত্রিত হয়ে পি.এ.এইচ গঠন করে। “কার্বন রাসায়নিক বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত মৌলিক একটি উপাদান, বিশেষত সেই সমস্ত বিক্রিয়ার ক্ষেত্রে যেগুলো জীবন ধারণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অণুর সৃষ্টির জন্য দায়ী”, বলছেন এম.আই.টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডাঃ ব্রেট ম্যাকগুয়ের। তিনি এবং তাঁর সহকারী দল এই অণুর অস্তিত্ব প্রথম খুজে পান। পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রীণ ব্যাঙ্ক টেলিস্কোপের সাহায্যে পৃথিবী থেকে প্রায় ৪৩০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা টিএমসি-১ নামের একটি মেঘের ওপর বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালান। গবেষণার ফল রীতিমত চমকে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। ম্যাকগুয়েরের মতে, মহাকাশে অবস্থিত পি.এইচ.এ-র সংখ্যা তাত্ত্বিকভাবে প্রাপ্ত সংখ্যার থেকে কয়েক লক্ষ গুণ বেশী। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রধানত দুটি কারণে পি.এইচ.এ-র জন্ম হতে পারে। এক, কোনও মৃত নক্ষত্রের ছাই থেকে অথবা কোনও জটিল মহাজাগতিক রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে। যদিও টিএমসি-১ সদ্য তারার জন্ম দেওয়ার কারণে জটিল রাসায়নিক বিক্রিয়াকেই দায়ী করছেন ম্যাকগুয়ের। অন্যদিকে সেটি ইন্সটিটিউটের মহাকাশ রসায়নবিদ আলেসান্দ্রা রিকার মতে এই ঘিটনা নিঃসন্দেহে একটি ‘বড় ঘটনা’।