মহুয়া মৈত্র খুবই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন আদানির বিরুদ্ধে

তৃণমূল সাংসদ ও জেপি মর্গানের প্রাক্তন ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞ মহুয়া মৈত্র খুবই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন আদানির বিরুদ্ধে। সেবি, আয়কর দপ্তর ও ইডিকে চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। এই বিষয়ে দ্রুত ব্যাখ্যা না পেলে আদানী গ্রুপের বেআইনি কার্জকলাপের পিছনে মোদী সরকারের সমর্থন থাকা ইঙ্গিত করে ট্যুইটে “মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়” বলে উল্লেখ করেছেন।

ছটি বিদেশি কম্পানি 42 হাজার কোটি টাকা আদানি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে, মরিশাস থেকে। এই ছটি কোম্পানিরই সেক্রেটারি, ডিরেক্টর এবং ঠিকানা এক।
মহুয়া মৈত্র জানাচ্ছেন যে ভারতের আইন অনুযায়ী কোন ভারতীয় বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে নিজ দেশে বিনিয়োগ করতে পারে না। অথচ গত দু’দিনে যেভাবে আদানির শেয়ারের দাম বেড়েছে তার মধ্যে তিনি আইন বহির্ভূত কার্যকলাপের গন্ধ পাচ্ছেন।
মহুয়া দেবী চিঠি দিয়েছেন সেবি, রাজস্ব দপ্তর (ইডি), income tax দপ্তরে।

মহুয়া মিত্রের চিঠি


যদিও আদানীর তরফে বলা হচ্ছে যে মহারাষ্ট্র ও রাজস্থান সরকার দেনা মিটিয়েছে। তার ফলেই নাকি আদানি ঋণ মুক্ত হচ্ছেন। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে ডিজেলের দাম বৃদ্ধির ফলে ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। এবং এই সব কারণেই নাকি ওদের green energy বিনিয়োগের ফলে সেই ব্যবসায় শেয়ারের দাম বাড়ছে।
1982 সাল থেকে মরিশাসকে কেন্দ্র করে বিদেশি পুঁজির ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার যে বৈধ প্রক্রিয়া চলছিল তা দেশের মধ্যে সমালোচনার মুখে পড়ে। এই আইনের মধ্য দিয়ে সরকারি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এই অভিযোগ ওঠে। বিদেশী পুঁজিপতিরা মরিশাস হয়ে ভারতবর্ষে বিনিয়োগ করছিল ট্যাক্স না দেওয়ার উদ্দেশ্যে ।
শেষ পর্যন্ত 2016 সালে সেই চুক্তি পরিমার্জিত হয়। কিন্তু প্রশ্ন হলো আদানি কি সেগুলো মানছেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *