কোভিডে মৃতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু তা দিতে অপারগ কেন্দ্রীয় সরকার তা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টে। সম্প্রতি এক আবেদন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতের কাছে, কোভিড মৃতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে, তারই উত্তর চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু কেন্দ্র তাদের ও রাজ্য সরকারের অপারগতা প্রকাশ করেছে। তাদের ১৮৩ পাতার হলফনামায় তারা জানিয়েছেন যে কোভিডে মৃতদের পরিবার পিছু তাদের ক্ষতিপূরণ দিলে তারা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে তা না দিলে তা অন্যায় করা হবে।
ভূমিকম্প, বন্যা এইসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবি করা যায়। কিন্তু অতিমারীর প্রকোপে প্রাণহানির সংখ্যা যে বিপুল তাতে সকলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হলে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ফান্ডের সমস্যা হতে পারে।
গত আড়াই মাসের মধ্যে প্রথম দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ষাট হাজারের নীচে নেমেছে। কিন্তু আগামী দিনে তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। সেখানে দিল্লি সরকার দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছে পরিবারপিছু। মধ্যপ্রদেশ সরকারও ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা জানিয়েছে। কিন্তু সমস্যা এখানেও। হাসপাতাল ছাড়া কোভিড আক্রান্তে মৃত্যু হলে তা শংসাপত্রে উল্লেখ থাকছে না। ফলে এই ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। ফলে চিকিৎসকদের প্রতি কড়া আদেশ যে কোভিডে মৃতের শংসাপত্রে কোভিডের উল্লেখ থাকলেই তার পরিবারকে গণ্য করা হবে।