শক্তি সঞ্চয় করে আজ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে চলেছে যশ। বিকেল থেকেই বঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে বইবে ৬০-৭০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। সঙ্গে শুরু হবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। মঙ্গলবার এই ঝোড়ো হাওয়ার গতি ৭০ পেরোবে, সঙ্গে বৃষ্টির দাপট বাড়বে। ঝড়ের গতিবিধি দেখে অনুমান করা হচ্ছে তা উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে এবং বুধবার তা আছড়ে পড়বে সাগরদ্বীপ, বঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকার উপর।
যশের সঙ্গে মোকাবিলা করতে তৎপর রাজ্য ও জেলা। খোলা হয়েছে বিভিন্ন কন্ট্রোল রুম। মঙ্গলবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তার উপর নজর রাখবেন। যথাসম্ভব ব্যবস্থা অগ্রিম নিয়ে রাখা হয়েছে। কলকাতা ও বিভিন্ন এলাকায় গাছ কাটার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গাছ পড়ে প্রাণহানি ও দুর্যোগের যে অনুমান করা হচ্ছে তা থেকে রক্ষা পেতে এই ব্যবস্থা। লালবাজারে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, এছাড়া বিদ্যুৎ সংস্থা থেকেও বিপদ এড়াতে ও যুদ্ধকালীন তৎপরতার জন্য তৈরি হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলায় জেলায় মোকাবিলার জন্য খুঁটি পাঠানো হয়েছে।
উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং, যথাসম্ভব মানুষকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা চলছে।
ঝড়ের কারণে ব্যাহত হতে পারে রেলওয়ে ও বিমান পরিষেবা। আংশিক লকডাউনের কারণে অধিকাংশ লোকাল ট্রেন বন্ধ। এছাড়াও বিভিন্ন স্পেশাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সতর্কতা রয়েছে বিমান পরিষেবাতেও।
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন এবং বিভিন্ন নির্দেশ জারি করেন। কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হবে, তা নিয়ে টুইট করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলায় আপাতত প্রস্তুত বঙ্গ, ওড়িশা।
ছবি কৃতিত্ব : https://unsplash.com/