করোনা টিকার ক্রয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ব্যয় করতে নারাজ। রাজ্যগুলিকে টিকা কেনার জন্য ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু যে টিকা কেন্দ্র কিনেছে কম দামে, তার প্রায় দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে রাজ্যগুলিকে। অর্থের কারণে তারা বিনামূল্যে গণটিকা বন্টনেও রাজি ছিলেন না।
সেই কেন্দ্রীয় সরকার তাদের সপ্তম বর্ষপূর্তি উৎসবে প্রফুল্ল এখন। নেহাত করোনার থাবা, ফাঙ্গাসের থাবা, ঘূর্ণিঝড়ে দেশ কাহিল। তবুও মনের প্রফুল্লতাকে চেপে রাখা যায়না। এতটাই প্রফুল্ল তারা যে করোনা কমে যাচ্ছে এই মন্তব্য করতেও দ্বিধাবোধ করেননি খোদ নমো।
তাদের সাফল্যের খাতার প্রথমেই রয়েছে ৪৯২ বছরের অমীমাংসিত রামমন্দির কেসের জয় এবং রামমন্দিরের শিলন্যাস। নতুন সংসদ ভবন ও সেন্ট্রাল ভিস্তার জন্য খরচ করা হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এদিকে রাজ্যগুলো যথাযথ সাহায্য পাচ্ছে না। কোথায় গেল পিএমকেয়ার ফান্ডের টাকা, কিংবা বিনামূল্যে টিকা বিতরণের জন্য কেন্দ্র কেন কোনো সাহায্য করছে না এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করছি না নমো ও তার দল। কোনো সাংবাদিক বৈঠকের মুখোমুখি আসতে নারাজ তারা। বলা হচ্ছে গত ২৮ দিনে তিনি সতেরোটির বেশি বৈঠক করেছেন বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে, কিন্তু উত্তর প্রদেশের গঙ্গার চরে পুঁতে রাখা কোভিড রোগীদের লাশ, টাউটে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা সকলই এড়িয়ে এখন চলছে ‘নতুন ভারতের নির্মাণ’ পর্বের জয়গীত।
অর্থনৈতিক অবস্থা সঙ্কটজনক, পেট্রোল ডিজেলের দাম সাধারণ মানুষের কল্পনার বাইরে, এর মধ্যে অনাবশ্যক ব্যয়ের সিদ্ধান্তে দেশবাসী এবং নাগরিকদের কড়া সমালোচনার মুখে কেন্দ্রীয় সরকার।