এই প্রথম গণটিকার আর্জি নিয়ে রাজ্য দ্বারস্থ হল শীর্ষ আদালতের কাছে। কোভিডে গণটিকার নির্দেশ দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে আর্জি জানায়।
কেন্দ্র এর আগে আঠেরো বছরের উর্ধ্বে সকলের টিকাকরণের ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা দেখা দেয়। কেন্দ্র যে টিকাগুলি কিনবে, তা রাজ্যকে বিভিন্ন সংস্থা বিক্রি করবে আরো চড়া দামে। ফলে তা রাজ্যগুলির জন্য একটা চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে ভোটের আবহাওয়াকে আরো উত্তপ্ত করতে কেন্দ্র বার বার করোনা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়, যা ভোটের পরে কর্পূরের মত উবে গেছে। এছাড়াও কেন্দ্র কোনো রকম প্রেস কনফারেন্স করতেও উদ্যত নয়। কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রী এই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কোনো রকম মন্তব্য করছেন না। ফলে তাদের দায়িত্বহীনতা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করোনাকে ব্যবহার করার উদ্দেশ্য স্পষ্ট।
রাজ্য শীর্ষ আদালতের কাছে দাবি জানায় টিকার দামের উর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হোক ১৫০ টাকায়। রাজ্য-কেন্দ্রের টিকার ক্রয়ের মূল্যের যে বৈষম্য তারও দাবি করে সরকার।
কেন্দ্র এখনো পর্যন্ত অনড় পঁয়তাল্লিশ অনূর্ধদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে। ফলে চাপ বাড়ছে রাজ্যের উপর। বার বার কেন্দ্রের দায়িত্বহীনতার ছবিই উঠে আসছে। কেন্দ্র ছাড়পত্র দিলেও আর্থিক দায় নিচ্ছে না। দেশের ১৮ উর্ধ্ব নাগরিকদের ৭০ শতাংশের টিকাকরণের জন্য প্রয়োজন প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। ফলে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি অন্য রাজ্যও যদি তাদের দাবি নিয়ে শীর্ষ আদালতে যায়, তবে প্রবল চাপ সৃষ্টি হবে কেন্দ্রের উপর। দায় স্বীকার করতে বাধ্য হবে তারা।